কালের খবর: বিশ্বজুড়ে সম্পদের অসমতা বেড়েই চলেছে। গবেষকরা ধারণা করছেন ধনী-গরীবের বৈষম্য বর্তমানে গত শতাব্দীর ভেতর সর্বোচ্চ পর্যায়ে রয়েছে। সম্প্রতি বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় এনজিওদের সংস্থা অক্সফাম এক গবেষণা প্রতিবেদনে সম্পদের এ বৈষম্যের বিষয়টি প্রকাশ করেছে। অক্সফামের প্রতিবেদন অনুযায়ী বিশ্বের অল্প কয়েকজন শীর্ষ ধনীর (১%) হাতে রয়েছে বিশ্বের ৮২ শতাংশ সম্পদ।
সোমবার প্রকাশিত ওই প্রতিবেদনে অক্সফাম ইন্টারন্যাশনাল বলছে, ‘২০১৭ সালে বিশ্বে কোটিপতিদের সম্পদ বেড়েছে প্রায় ৭৬২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। বৈশ্বিক চরম দারিদ্র্য দূর করার জন্য এ অর্থ যথেষ্ঠ।’
অক্সফাম ইন্টারন্যাশনালের নির্বাহী পরিচালক উইনি বিয়ানইমা কোটিপতিদের সম্পদ বৃদ্ধির এ ঘটনাকে ‘অর্থনৈতিক ব্যবস্থার ব্যর্থতার’ লক্ষণ বলে মন্তব্য করেছেন।
‘যে মানুষেরা আমাদের পোশাক তৈরি, ফোন ও খাদ্য উৎপাদন করছেন তারা শোষণের শিকার হচ্ছেন। সস্তায় পণ্য সরবরাহ নিশ্চিত করার জন্য, কর্পোরেশন এবং কোটিপতি বিনিয়োগকারীরা মুনাফার বিস্ফোরণ ঘটানোর জন্য তাদের শোষণ করছেন।’
‘রিওয়ার্ড ওয়ার্ক, নট ওয়েলথ’ শীর্ষক অপর এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত বছর বিশ্বে বিলিওনেয়ারের সংখ্যা বৃদ্ধির ঘটনা ইতিহাসের সর্বোচ্চ রেকর্ড পরিমাণে পৌঁছেছে। প্রতি দু’দিনে অন্তত একজন বিলিওনেয়ার হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছেন।
২০১৭ সালের ক্রেডিট সুইসের গ্লোবাল ওয়েলথ ডাটাবুকের তথ্য বলছে, বর্তমানে বিশ্বে বিলিওনেয়ারের সংখ্যা ২ হাজার ৪৩ জন; এদের ৯০ শতাংশ পুরুষ।
অক্সফামের তথ্য বলছে, কর ফাঁকি, শ্রমিক অধিকার লঙ্ঘন ও স্বয়ংক্রিয় উৎপাদন ব্যবস্থাই বৈশ্বিক এ অর্থনৈতিক বৈষম্যের জন্য দায়ী।
সুইজারল্যান্ডের দাভোসে বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরামের (ডব্লিউইএফ) বার্ষিক সম্মেলন শুরুর একদিন আগে সোমবার অক্সফাম এ প্রতিবেদন প্রকাশ করলো। গত বছর অক্সফামের একই ধরনের প্রতিবেদনে বলা হয়, বিল গেইটস, মাইকেল ব্লুমবার্গসহ মাত্র ৮ জন ধনকুবেরের সম্পদের পরিমাণ বিশ্বের ৩৬০ কোটি মানুষের সম্পদের সমান।
অফিস : ৪৪-ক, অতিশ দীপঙ্কর রোড, মুগদা, ঢাকা । সম্পাদকীয় কার্যালয় : আরএস ভবন, ১২০/এ মতিঝিল, ঢাকা
মোবাইল : ০১৭৫৩-৫২৬৩৩৩ ই-মেইল : dainikkalerkhobor5@gmail.com
কারিগরি সহযোগিতায় ফ্লাস টেকনোলজি