ওয়াসিম উদ্দিন সোহাগ, তাড়াইল, কালের খবর : কিশোরগঞ্জ জেলার তাড়াইল উপজেলার ২৩ টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার নেই। এসব প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের ২১ ফেব্রুয়ারি ভাষাশহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে হয় আশপাশের কোনো শহীদ মিনারে। অনেকে অস্থায়ীভাবে শহীদ মিনার নির্মাণ করে তাতে শ্রদ্ধা জানান।
শিক্ষা কার্যালয় সূত্র থেকে জানা যায়, উপজেলায় ৭০ টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঝে ৭টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় শহীদ মিনার নাই। উপজেলা সহকারী শিক্ষা অফিসার মোস্তাফিজুর রহমান বলেন প্রতিষ্টান গুলির জায়গা কম থাকার কারনে শহীদ মিনার স্থাপন করা সম্ভব হয়নি। যে সকল প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শহীদ মিনার নাই সেগুলি তাড়াইল আদর্শ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, আনোয়ারপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, জটারকান্দা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ভেরনতলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, হাজি আঃ হাফিজ ভুঞা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়,সহিলাটি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, কলুমা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। দুটি উচ্চ মাধ্যমিক স্কুল কে, ডি,আর নিম্ন মাধ্যমিক উচ্চ বিদ্যালয় ও তালজাঙ্গা ইউনিয়ন বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়। নিম্ন মাধ্যমিক স্কুলের প্রধান শিক্ষক এরশাদুল হক আকুল বলেন, শহীদ মিনার না থাকাতে জাতীয় দিবস গুলিতে ছাত্র/ ছাত্রীদের নিয়ে ভোগান্তিতে পড়তে হয়।অন্যন্য স্কুলের সাথে শেয়ার করে জাতীয় দিবসগুলি উদযাপন করতে হয়। এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস সুত্র জানায, যে সকল স্কুল কলেজে শহীদ মিনার নাই সেগুলির তথ্য জেলা অফিসে দেয়া হয়েছে। তাড়াইল উপজেলা দুটি কলেজ এরমধ্যে দামিহা উদয়ন কলেজে শহীদ মিনার নেই। উক্ত কলেজের অধ্যক্ষ আমিনুল ইসলাম বলেন, আমাদের প্রতিষ্টান এমপিও ভুক্তি না থাকায় শহীদ মিনারের জন্য কোন বাজেট আসে নাই।একটি শহীদ মিনারের খুব বেশী প্রয়োজনীয়তার কথা উল্লেখ করে বলেন আমাদের কলেজের নব নির্বাচিত সভাপতি আমিরুল ইসলাম খাঁন বাবলুর কাছে অবগত করেছি। তিনি বিষয়টি গুরুত্বের সাথে দেখবেন বলে জানিয়েছেন। অপরদিকে আলিম,দাখিল, ইবতেদায়ী সতন্ত্র মিলিয়ে ১৪ টি মাদ্রাসা শিক্ষা প্রতিষ্টানের কোনটিতেই শহীদ মিনার নেই। এ বিষয়ে তালজাঙ্গা আলিম মাদ্রাসার সদস্য সচিব নাজমুল হক বলেন, আমরা জাতীয় দিবস গুলিতে দোয়া মিলাদ,হামদ্ নাত কবিতা ও খেলাধুলার অনুষ্টান করি।কেন্দ্রীয় ভাবে যা নির্দেশনা দেয় সেভাবেই আমরা দিবসগুলি উদযাপন করি।
সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, যেসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার আছে তাতেও অযত্ন-অবহেলার ছাপ স্পষ্ট। প্রায় প্রতিটি শহীদ মিনার স্তম্ভ ধুলায় মলিন হয়ে গেছে। এর মধ্যে একেবারে করুণ অবস্থা শহীদবেদিতে পর্যন্ত আগাছা জন্মেছে। আশপাশে ছড়িয়ে-িছটিয়ে আছে আবর্জনা
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার থাকা উচিত। কারণ, কোমলমতি শিক্ষার্থীরা শহীদ মিনার দেখে মাতৃভাষা সম্পর্কে জানতে আগ্রহ প্রকাশ করবে। কিন্তু সুনির্দিষ্টভাবে বাজেট না থাকায় বিদ্যালয়গুলোতে শহীদ মিনার নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া সম্ভব হয়নি।
জানা গেছে, কিছু প্রতিষ্ঠান অস্থায়ী শহীদ মিনার নির্মাণ করে তাতে শ্রদ্ধা জানায়। গত বছর উপজেলার অনেক বিদ্যালয়ে বাঁশ ও মাটি দিয়ে অস্থায়ী শহীদ মিনার নির্মাণ করে সেখানে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানায় ওই প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা।
অফিস : ৪৪-ক, অতিশ দীপঙ্কর রোড, মুগদা, ঢাকা । সম্পাদকীয় কার্যালয় : আরএস ভবন, ১২০/এ মতিঝিল, ঢাকা
মোবাইল : ০১৭৫৩-৫২৬৩৩৩ ই-মেইল : dainikkalerkhobor5@gmail.com
কারিগরি সহযোগিতায় ফ্লাস টেকনোলজি