ওয়াসিম উদ্দিন সোহাগ, তাড়াইল (কিশোরগঞ্জ) থেকে, কালের খবর : কিশোরগঞ্জের তাড়াইল উপজেলায় ছাত্রলীগের কমিটি নিয়ে ধুম্রজালের সৃষ্টি হয়েছে। অসন্তোষ আওয়ামী লীগের শিবিরে।
জানা যায়, কিশোরগন্জের তাড়াইল উপজেলায় ০৮-০২-২০২০ ইং তারিখে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি লিমন ঢালী ও সাধারন সম্পাদক মোঃ আশরাফ আলীর সীল সহ দস্তখত করা এ পর্যন্ত পাঁচটি কমিটি অনুমোদনের সংবাদ পাওয়া যায়। এ নিয়ে তাড়াইল উপজেলা আওয়ামী লীগ শিবিরে চরম অসন্তোষ ও ছাত্রলীগে চরম বিশৃংখলা দেখা দিয়েছে। তাড়াইল উপজেলা প্রায় ১৬ বছর পার হয়ে গেলেও আাওয়ামী লীগের প্রানের সংগঠন ছাত্রলীগের এ পর্যন্ত পূর্নাঙ্গ কমিটির রুপ দিতে পারে নাই। শামরুজ- সাফায়েত প্যানেলের একটি আহবায়ক কমিটি হয়েছিল। যুগ্ম আহবায়ক সাজ্জাদ হোসেন সাফায়েত মহাজন জেলা ছাত্রলীগের সহ সভাপতি হয়ে যাওয়ায় পরে এই আহবায়ক কমিটির কাজ ঝিমিয়ে পড়ে। আবার দীর্ঘদিন তাড়াইল উপজেলা ছাত্রলীগ নেতৃত্বশূন্য হয়ে পড়ে। তাই নতুন করে নেতৃত্বে আসার জন্য আলাদা আলাদা গ্রুফিং করে ছাত্র নেতারা কমিটি আনার চেষ্টা চালিয়ে যায় । এরই ফলশ্রুতিতে এ পর্যন্ত পাঁচটি কমিটি ফেসবুক তথা সামাজিক গণমাধ্যমে সয়লাব করেছে। গত ১০-০২-২০২০ তারিখে কিশোরগন্জের জেলা ছাত্রলীগের পুরনো কমিটি বিলুপ্ত করে ( সুমন- ওমান- নয়ন) প্যানেলের নতুন কমিটি ঘোষণা হয়। তখন থেকেই ( লিমন ঢালী- আশরাফ আলী) প্যানেলের দস্তখত করা দুই দিন আগের স্বাক্ষর করা ০৮-০২-২০২০ তরিখের পর পর পাঁচটি কমিটির কপি ফেসবুকে তোলপাড় করে। যা নিয়ে তাড়াইল উপজেলা ছাত্রলীগের মধ্যে গ্রুপিং স্পষ্ট হয়ে উঠছে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক ছাত্রলীগ নেতা বলেন, জেলা ছাত্রলীগ প্রায় চার বছর পোস্ট কেরি করেও তাড়াইল উপজেলা ছাত্রলীগ কমিটি দিতে পারে নাই। এটা তাদের জন্য চরম ব্যর্থতা। কিন্ত শেষের দিকে দু দিন হাতে রেখেই একই তারিখ দিয়ে উপজেলার পাঁচটি কমিটির অনুমোদন দেওয়ায়, তাদের নেতৃত্বের চরম ব্যর্থতার বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে। তিনি এও বলেন যে, জেলা ছাত্রলীগের নতুন কমিটি ঘোষনা হওয়ার সাথে সাথে সামাজিক গণমাধ্যমে ব্যাপক সাড়া পড়ে যায়। এবং তা দেখে ব্যাক ডেইট দিয়ে জেলার অনেক উপজেলাই এ রকম কমিটি দিয়েছে সদ্য বিদায়ী ছাত্র নেতারা। তবে তাড়াইলের ক্ষেত্রে অতিরিক্ত বাড়াবাড়ি হয়ে গেল।
তাড়াইল উপজেলা এ পর্যন্ত ছাত্রলীগের যে কমিটি গুলি ছড়াও হচ্ছে তা হচ্ছে- কমিটি- ১ আহবায়ক মোঃ হুমায়ুন কবির, যুগ্ম আহবায়ক আমিনুল ইসলাম জুটন মড়ল।
কমিটি- ২ আহবায়ক ইসমাইল সিরাজী,যুগ্ম আহবায়ক আমিনুল ইসলাম জুটন মড়ল।
কমিটি- ৩ সভাপতি মোঃ কবির মিয়া, সাধারন সম্পাদক ইসমাইল সিরাজী, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তানিম বিল্লাহ।
কমিটি-৪ আহবায়ক মাহমুদুল হাসান রনি, যুগ্ম আহবায়ক তানিম বিল্লাহ।
কমিটি-৫ সভাপতি রোমান খান, সাধারন সম্পাদক হিরন খান, সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাঈদ খাঁন। এর প্রতিটি কমিটিই গত ৮ ফেব্রুয়ারী ২০২০ তারিখের জেলা ছাত্রলীগের দস্তখত ও সিল সম্বলিত লক্ষ্য করা যায়। এ নিয়ে উপজেলা আওয়ামী লীগের ভিতরে ও বাাহিরে সমালোচনার ঝড় বইছে। এ বিষয়ে তরুন নেতৃত্বের আইডল উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক গিয়াসউদ্দিন লাকির সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি এ বিষয়ে হতাশা ব্যক্ত করেন। তিনি বলেন, ফেসবুকে আমি পাঁচটি কমিটি দেখেছি। জেলা ছাত্রলীগের কাছে এ রকম আশা করিনি। এ পর্যন্ত জেলা থেকে আমরা কোন রকম ডকুমেন্ট পাইনি। যদি পাই তাহলেও যাচাই বাচাই করে দেখব। এবং কমিটি বিলুপ্তির দুই আগে পকেট কমিটি দেওয়ার রাইট আছে কিনা সেটিও দেখতে হবে। তারপর সিদ্ধান্ত নেব।
উপজেলা আওয়ামী লীগের সংগ্রামী সাংগঠনিক সম্পাদক আফরোজ আলম ঝিনুক বলেন, কমিটিগুলি সম্পূর্ন মনগড়া এর কোন সাংগঠনিক ভিত্তি নাই। সবগুলি কমিটিই অবৈধ।
অফিস : ৪৪-ক, অতিশ দীপঙ্কর রোড, মুগদা, ঢাকা । সম্পাদকীয় কার্যালয় : আরএস ভবন, ১২০/এ মতিঝিল, ঢাকা
মোবাইল : ০১৭৫৩-৫২৬৩৩৩ ই-মেইল : dainikkalerkhobor5@gmail.com
কারিগরি সহযোগিতায় ফ্লাস টেকনোলজি