কালের খবর রিপোর্ট :
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, একটি জাতি যখন সংস্কৃতিচর্চা করতে পারে এবং শিক্ষাদীক্ষায় উন্নত হতে পারে, তখন সে জাতির মর্যাদা বিশ্ববাসীর কাছে বাড়ে। তিনি বলেন, নাটক, কবিতা ও সাহিত্য এমন একটা মাধ্যম যে আমরা যেখানে মিটিং মিছিল করতে পারি না। বক্তব্য দিতে পারি না, নাটকের মাধ্যমে না বলা কথাগুলো সেখানে বলা যায়। সংস্কৃতি চর্চার মাধ্যমে দ্রুত মানুষের কাছে পৌঁছানো যায়। ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলন, সামরিক শাসনবিরোধী আন্দোলনে তার প্রমাণ।
বুধবার দুপুরে বাংলাদেশ গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশনের মাসব্যাপী নাট্যোৎসবের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি একথা বলেন।
এর আগে চট্টগ্রাম, রাজশাহী ও রংপুরসহ বেশ কয়েকটি শহরের ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে তাদের সংক্ষিপ্ত নাটক উপভোগ করেন প্রধানমন্ত্রীসহ গণভবনে থাকা দর্শনার্থীরা। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশনের মাসব্যাপী এ নাট্যোৎসব মুজিববর্ষকে আরো গুরুত্বপূর্ণ করে তুলবে। একসঙ্গে বাংলাদেশের ৪০০টি স্থানে নাটকের উৎসব সাংস্কৃতিক আন্দোলন গড়ে তুলবে। এ আন্দোলনের মাধ্যমে দেশ থেকে সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ, মাদক ও দুর্নীতি দূর হবে।
তিনি বলেন, প্রতিটি আন্দোলন-সংগ্রামে সংস্কৃতি কর্মীরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন। স্বাধীনতার আন্দোলন, ভাষা আন্দোলন, শিক্ষা আন্দোলন, ছয় দফা আন্দোলন, স্বৈরাচারবিরোধী ও সামরিক শাসকদের বিরুদ্ধে সংস্কৃতি কর্মীরা জোরালো আন্দোলন গড়ে তুলেছেন। ফলে দেশে আজ গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।
শেখ হাসিনা বলেন, আমরা যখন রাজনৈতিক নেতাকর্মীরা রাজপথে মিছিল-মিটিং করতে পারিনি, তখন সংস্কৃতি কর্মীরা পথ নাটকের মাধ্যমে আন্দোলনের গতি অব্যাহত রেখেছেন। ভাষার জন্য যারা রক্ত দিয়ে নাম লিখে গেছেন এই মাসে তিনি তাদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
তিনি বলেন, নাটক, কবিতা ও সাহিত্যের মাধ্যমে গুরুত্বপূর্ণ কথাগুলো খুব সহজভাবে মানুষের কাছে পৌঁছানো যায়। জঙ্গিবাদ-সন্ত্রাস মাদকের বিরুদ্ধে সংস্কৃতি কর্মীদের জোরালো আন্দোলন গড়ে তোলার আহ্বান জানান তিনি।
অফিস : ৪৪-ক, অতিশ দীপঙ্কর রোড, মুগদা, ঢাকা । সম্পাদকীয় কার্যালয় : আরএস ভবন, ১২০/এ মতিঝিল, ঢাকা
মোবাইল : ০১৭৫৩-৫২৬৩৩৩ ই-মেইল : dainikkalerkhobor5@gmail.com
কারিগরি সহযোগিতায় ফ্লাস টেকনোলজি