সংসদ প্রতিবেদক, কালের খবর :
সড়ক ও সেতু মন্ত্রণালয়ে ১৪টি প্রকল্পে মোট ছয় কোটি ২৪ লাখ ৬৪ হাজার ৪৯৯ টাকা লুটপাট বা ক্ষতি হয়েছে। মন্ত্রণালয়ের ১৯৯৯-২০০০ অর্থ বছরের হিসাব সম্পর্কিত মহা হিসাব-নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রকের বার্ষিক অডিট রিপোর্টে এ তথ্য উঠে এসেছে।
রোববার সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত সরকারী হিসাব সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির ২৩তম বৈঠক সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
বৈঠকের সূত্রে জানায়, সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের ১৯৯৯-২০০০ অর্থ বছরে অনিয়মিতভাবে স্পট কোটেশন আহবান করে চার কোটি ৬৭ লাখ ৭৮ হাজার ৯১৫ টাকার কার্যাদেশ এবং অনিয়মিতভাবে দরপত্র আহ্বান ব্যতিত ৪৩ লাখ ৬১ হাজার ৭২৫ টাকার কার্যাদেশ দেয়।
এছাড়া খণ্ড খণ্ড প্রাক্কলনের মাধ্যমে সড়ক মেরামতের নামে অনিয়মিতভাবে ৩২ লাখ ৩৩ হাজার ৯৫৮ টাকা পরিশোধ এবং সাপ্লিমেনটারি টেন্ডার (এস.টি) আইটেমে শতকরা ৬৮ ভাগ ঊর্ধ্ব দরে কাজ সম্পাদন করায় সরকারের পাঁচ লাখ ৯০ হাজার ৯৫ টাকা আর্থিক ক্ষতি হয়।
কর্তৃপক্ষের অনুমোদন ব্যতিত বর্ধিত কাজের মূল্য বাবদ ঠিকাদারকে চার লাখ ৪৮ হাজার ৪২৮ টাকা অতিরিক্ত পরিশোধ এবং বর্ধিত কাজের মূল্য বাবদ ঠিকাদারকে অনিয়মিতভাবে চার লাখ ৬১ হাজার ৪৪১ টাকা পরিশোধ করা হয়।
বক্সকাটিংয়ের পরিমাণ অপেক্ষা বিটুমিনাস সিলকোট ও প্রাইম কোর্টয়ের কাজ অধিকতর পরিমাণে দেখিয়ে ঠিকাদারকে চার লাখ এক হাজার ৮৫৭ টাকা অতিরিক্ত শোধ করা এবং থানা সংযোগ সড়কের প্রশস্থতা বেশি দেখিয়ে ঠিকাদারকে আট লাখ ১৪ হাজার ৮৯২ টাকা অতিরিক্ত পরিশোধ করা হয়। এছাড়া প্রাক্কলিত মূল্য অপেক্ষা ঠিকাদারকে ১৬ লাখ ৮৬ হাজার ৪২০ টাকা অতিরিক্ত পরিশোধ করা হয়েছে।
বৈঠকে প্রি-মেজারমেন্ট ও পোস্ট মেজারমেন্ট ব্যতিত মাটির কাজ দেখিয়ে পাঁচ লাখ ৮৫ হাজার ৪শত ৩৯ টাকা অতিরিক্ত পরিশোধ করায় আর্থিক ক্ষতি এবং যথাযথ কর্তৃপক্ষের ডিজাইন অনুমোদন ও দরপত্র আহ্বান ব্যতিরেকে বক্স কালভার্ট নির্মাণ কাজে চার লাখ ৬৩ হাজার ৩৪৫ টাকা অনিয়মিতভাবে পরিশোধ করা হয়েছে।
এছাড়া ফ্লেক্সজিবল পেভমেন্ট তৈরির কাজে অতিরিক্ত খোয়া’র ব্যবহার দেখিয়ে ঠিকাদারকে তিন লাখ আট হাজার ৩৯৭ টাকা অতিরিক্ত পরিশোধ, ফেরি ভাড়া আদায় না করায় এক লাখ ৮৬ হাজার ১৪৪ টাকা রাজস্ব ক্ষতি এবং ২১ লাখ ৪৩ হাজার ৪৪৬ টাকা মূল্যের স্পেয়ার পার্টস বা যন্ত্রাংশের কোনো হিসাব সংরক্ষণ করা হয় নাই যার ফলে মন্ত্রণালয়ের মোট ছয় কোটি ২৪ লাখ ৬৪ হাজার ৪৯৯ টাকা ক্ষতি বা লুটপাট করা হয়েছে। কমিটি এসব অডিট আপত্তি দ্রুত নিষ্পত্তি ও দোষিদের শাস্তির সুপারিশ করেছে।
কমিটির সভাপতি রুস্তম আলী ফরাজী বৈঠকে সভাপতিতে কমিটির সদস্য আবুল কালাম আজাদ, আব্দুস শহীদ, মো. শহীদুজ্জামান সরকার, সালমান ফজলুর রহমান, মনজুর হোসেন এবং আহসানুল ইসলাম (টিটু) অংশগ্রহণ করেন। কমিটি এসব আপত্তির বিষয়ে দোষিদের অঅইননানুগ শাস্তির ব্যবস্থার সুপারিশ করে।
অফিস : ৪৪-ক, অতিশ দীপঙ্কর রোড, মুগদা, ঢাকা । সম্পাদকীয় কার্যালয় : আরএস ভবন, ১২০/এ মতিঝিল, ঢাকা
মোবাইল : ০১৭৫৩-৫২৬৩৩৩ ই-মেইল : dainikkalerkhobor5@gmail.com
কারিগরি সহযোগিতায় ফ্লাস টেকনোলজি