সাতক্ষীরা প্রতিনিধি,কালের খবর :
দখল ও দূষণের কবলে পড়ে মরতে বসেছে সাতক্ষীরার বেতনা নদী। এ নদীর বুকে গড়ে তোলা হয়েছে অসংখ্য ইটভাটা, বসতবাড়ি, মৎস্য ঘেরসহ নানা স্থাপনা। ফলে নদী আর নদী নেই, এটি এখন শুকনো ভূমি। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, কলারোয়া উপজেলা থেকে সাতক্ষীরার সদর উপজেলার মাছখোলা পর্যন্ত প্রায় ১৫ কিলোমিটারের মধ্যে নদীর কোল ঘেঁষে ও নদী দখল করে প্রায় ৩৫টি ইটভাটা গড়ে উঠেছে।
এসব ভাটা মালিকদের কারণে ও নদী শাসনের ফলে খুব দ্রুত বেতনা নদী মরণ দশায় পৌঁছেছে। ১৫ বছর আগেও বেতনার বুকে লঞ্চ-স্টিমার ও বড় বড় গহনার নৌকা চলত। বেতনার পানি সেচ কাজে ব্যবহার করে কৃষকরা খেতে ফসল ফলাতেন।
কিন্তু এখন বর্ষা মৌসুমেও পানির অভাবে শুকনো থাকে নদী। বেতনা ও এর সঙ্গে সংযুক্ত খাল দখলের কারণে পানি নিষ্কাশনের পথ হয়ে গেছে বন্ধ। ফলে বৃষ্টির সময় জলাবদ্ধতায় পড়তে হয় বাসিন্দাদের। বিনেরপোতা গ্রামের মাজেদ ও যশোর আলী দালাল জানান, ১০-১৫ বছর আগেও নদীতে জোয়ার-ভাটা হতো। কিন্তু বিবি ব্রিকের মালিক লিয়াকত আলীসহ বেশ কয়েকজন প্রভাবশালী বেতনা নদী দখল করে ইটভাটা গড়ে তোলার পর কয়েক বছরের মধ্যেই নদীর মৃত্যু ঘটেছে।
যখন ফসলের জন্য খেত-খামারে সেচের দরকার হয় সেই বৈশাখ-চৈত্র মাসেও পানিশূন্য থাকে বেতনা।
এ অবস্থা থেকে পরিত্রাণ পেতে এলাকাবাসী অবিলম্বে বেতনা নদী দখলমুক্ত করে নদী দখলকারীদের বিরেুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সরকারের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। সমস্যা সম্পর্কে প্রশ্ন করলে পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আবুল খায়ের আশ্বস্ত করে জানান, নদ-নদী বাঁচিয়ে রাখতে ও জলাবদ্ধতা নিরসনে পানি উন্নয়ন বোর্ডের পক্ষ থেকে প্রজেক্ট রেডি করতে বলা হয়েছে। এ ছাড়া বেতনা নদী দখলকারীদের তালিকাও তৈরি করা হচ্ছে। সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
অফিস : ৪৪-ক, অতিশ দীপঙ্কর রোড, মুগদা, ঢাকা । সম্পাদকীয় কার্যালয় : আরএস ভবন, ১২০/এ মতিঝিল, ঢাকা
মোবাইল : ০১৭৫৩-৫২৬৩৩৩ ই-মেইল : dainikkalerkhobor5@gmail.com
কারিগরি সহযোগিতায় ফ্লাস টেকনোলজি