নির্ভীক অভিযাত্রার অঙ্গীকারে প্রতিমঞ্চ
কালের খবর :
নানা সামাজিক অস্থিরতা ও অনিয়মের বিরুদ্ধে বরাবরই সোচ্চার প্রতিমঞ্চ। যৌতুক, বাল্যবিয়ে, নিম্নমানের শিক্ষা, প্রশ্নফাঁস, ভর্তি জালিয়াতি, সাইবার নিরাপত্তা, প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জীবনযাত্রা, সময়ের আলোচিত আন্দোলন, তারুণ্যের দাবি, পেশাজীবীদের দাবিসহ সামাজিক ও জাতীয় জীবনের গুরুত্বপূর্ণ বিষয় তুলে ধরা হয়েছে এই পাতায়। গত বছর কোটা সংস্কার আন্দোলন, নিরাপদ সড়ক আন্দোলন, শিক্ষার্থীদের আত্মহত্যা প্রবণতা, দেশের পর্যটন কেন্দ্রগুলোর ভঙ্গুর দশা, বিশ্ববিদ্যালয়ে সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষাসহ অসংখ্য বিষয় ছাপা হয়েছে পাতাজুড়ে। এসব প্রতিবেদনের মাধ্যমে সরকার-প্রশাসনের কাছে তুলে ধরা হয়েছে বাস্তবতা। প্রতিবেদনের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে বিশেষজ্ঞদের মতামত, কর্তৃপক্ষের বক্তব্য। ফলে তৈরি হয় সচেতনতা, গঠন হয় জনমত। আগামী দিনেও নির্ভীক ভূমিকা রাখবে প্রতিমঞ্চ- এ আমাদের সাহসী অভিযাত্রার অঙ্গীকার। -বিভাগীয় সম্পাদক
ইমেরিটাস অধ্যাপক ড. আনিসুজ্জামান : প্রখ্যাত শিক্ষাবিদ ও লেখক
যুগান্তর পাঠকের প্রত্যাশা পূরণ করবে
ইমেরিটাস অধ্যাপক ড. আনিসুজ্জামান : প্রখ্যাত শিক্ষাবিদ ও লেখক
যুগান্তর দেশের একটি শীর্ষস্থানীয় দৈনিক পত্রিকা। সফলতার সঙ্গে দুই দশকে পা দেয়ায় পত্রিকাটিকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। সমাজের নানা অসঙ্গতি, বৈষম্য আর জনদুর্ভোগ তুলে ধরতে পত্রিকাটির প্রতিমঞ্চ বিভাগ সময়োপযোগী এবং সাহসী ভূমিকা রেখে আসছে। আশা করি, আগামী দিনগুলোতেও যুগান্তর পাঠকের প্রত্যাশা পূরণ করে সামনের দিকে এগিয়ে যাবে।
উন্নয়ন সাংবাদিকতায় এ পাতাটি ভালো ভূমিকা রাখছে
রাশেদা কে চৌধুরী : গণসাক্ষরতা অভিযানের নির্বাহী পরিচালক ও সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা।
প্রতিমঞ্চ পাতাটি প্রকাশ হয় এটি একটি উৎসাহের কথা। এখানে নানা ধরনের উন্নয়নমূলক বিতর্ক উঠে আসে যেমন- শিক্ষা। বলা যেতে পারে উন্নয়ন সাংবাদিকতায় এ পাতাটি ভালো ভুমিকা রাখছে। শুধু অর্থনীতি-রাজনীতিই একমাত্র খবর নয়। এর বাইরেও অনেক খবর রয়ে যায়। যা মানুষ দেখতে চায়, জানতে চায়।
যেমন- প্রশ্নপত্র ফাঁস কিংবা বিশ্ববিদ্যালয়ে সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষা নেয়ার বিষয়ে এ পাতায় যেসব প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। জনগণের কথা ও দাবিগুলো আপনারা তুলে ধরে থাকেন। সাধারণ মানুষ কিভাবে বলবে, কার কাছে বলবে?
এ সমস্যাগুলো নিয়ে কারও ব্যক্তিগতভাবে আদালতে যাওয়ার বিষয় নয়, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে যাওয়ারও বিষয় নয়। এগুলো এমন বিষয় যা নীতিনির্ধারকদের কাছে তুলে ধরার বিষয়। সেখানে আপনারা (প্রতিমঞ্চ) একটা বড় ভূমিকা পালন করছেন বলে আমি মনে করি। এ জন্য ধন্যবাদ জানাই।
গুণীজনদের মতামত আরেকটু বেশি প্রকাশ করা দরকার
অধ্যাপক ড. সৌমিত্র শেখর : বাংলা বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
যে কোনো পত্রিকা প্রথমত সমাজের ওপর তার দায়বদ্ধতা থেকে কাজ করে। পত্রিকার সামাজিক দায়বদ্ধতা তার সংবাদের মধ্য দিয়ে প্রকাশ পায়। যুগান্তরের কাছে আমার প্রত্যাশা থাকবে, তারা আগামীতে পথ চলার ক্ষেত্রে দেশপ্রেম, সাধারণ মানুষের প্রতি দায়বদ্ধতা এবং নিজস্ব সংস্কৃতিকে সামনে তুলে ধরবে।
নিশ্চয়ই প্রতিমঞ্চ পাতা আমাদের প্রথিতযশা, অনুকরণীয়-অনুসরণীয় ব্যক্তি যারা আছেন তাদের মতামত তুলে ধরে। এই পাতাকে আরও একটু প্রাণোচ্ছল করতে গেলে বিশেষজ্ঞ, বিশ্লেষক ও গুণীজনদের কথাগুলো আরেকটু বেশি করে প্রকাশ করা দরকার।
ছাপার অক্ষরের আকার আরও একটু যদি বড় করা যায় তাহলে বয়স্ক পাঠকদের পড়তে সুবিধা হবে। আমরা দেখি যে সংবাদের লাইন স্পেস কম হওয়ার কারণে অনেক সময় চোখে খানিকটা চাপ পড়ে। এ বিষয়টি একটু লক্ষ্য করা যেতে পারে। প্রতিমঞ্চ ও যুগান্তরের জন্য শুভ কামনা।
প্রত্যাশা আগামীতেও নারী-পুরুষের সমতার জন্য কাজ করবে
তানিয়া হক : জেন্ডার বিশেষজ্ঞ
যুগান্তরের ১৯ বছর পূর্তিতে শুভেচ্ছা। নিঃসন্দেহে বিগত দুই দশক ধরে প্রতিদিন ভোরে পাঠকের কাছে খবর পৌঁছে দেয়াটা ছিল বেশ চ্যালেঞ্জিং কাজ। যুগান্তর সেই চ্যালেঞ্জকে মোকাবিলা করেছে এবং পাঠকের কাছে সমাদৃত হয়েছে। সেই সঙ্গে প্রতিমঞ্চ পাতাটি যুগান্তরের পাঠকদের সচেতন করেছে, নীতিনির্ধারকদের সতর্ক করেছে।
নানা অসমতা ও অনিয়মকে তারা দেখিয়ে দিয়েছে। আমরা দেখেছি বিগত দিনে সমাজে নারী-পুরুষের নানা সমস্যা নিয়ে, বৈষম্য নিয়ে তারা দুর্দান্ত কিছু প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। বিশেষজ্ঞদের মতামত ছাপিয়ে বৈষম্যের বিরুদ্ধে জনমত তৈরিতে সচেতন ভূমিকা রেখেছে।
সাধারণ মানুষের হয়রানি ও দুর্ভোগের কথা তুলে ধরেছে। আমি প্রত্যাশা করি আগামীতেও এই পত্রিকা নারী-পুরুষের সমতার জন্য কাজ করবে। যুগান্তর এগিয়ে যাক, প্রতিমঞ্চ ন্যায়ের কথা বলুক।
প্রতিমঞ্চ সমাজের নানা অসঙ্গতিগুলো স্পষ্ট উচ্চারণে প্রকাশ করছে
তৌহিদুল হক : কবি ও শিক্ষক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
যুগান্তর পত্রিকার বিশ বছরে পদার্পণ করায় মালিকপক্ষ, যুগান্তর পত্রিকার সাংবাদিক পরিবার ও পাঠক সমাজকে অভিনন্দন জানাচ্ছি। একটি পত্রিকার দীর্ঘ উনিশ বছর অতিক্রম করে বিশ বছরে পদার্পণ, সংবাদ জগতে একটি নতুন সংযোজন। কারণ একটি নির্দিষ্ট নীতিমালা, পেশাসুলভ মনোভাব ও পাঠকের চাহিদার বিষয়গুলো সময়ের আলোকে সঠিক মূল্যায়নে অনুশীলনের ফলেই যুগান্তর সংবাদপত্র জগতে একটি বিশেষ পরিচয়।
নাগরিক জীবনবোধ জাগ্রতকরণে যুগান্তর পত্রিকা পাতা বিন্যস্তকরণে দক্ষতার পরিচয় দিয়েছে। সেই পরিচয়ের সূত্র ধরে প্রতিমঞ্চ পাতাটি সমাজের নানা অসংগতি ও অপরাধের বিষয়গুলো স্পষ্ট উচ্চারণে প্রকাশ করেছে। সেই সঙ্গে নাগরিক অধিকার ও কর্তব্য বিষয়কে দেশীয় চেতনাবোধের ফ্রেমে আবদ্ধ করতেও সচেষ্ট ছিল।
সচেষ্টতার প্রকাশে সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের সমাজ দায়িত্ববোধে অংশগ্রহণের জায়গাটি একটি কাঠামোবদ্ধ রূপায়ণে প্রতীয়মান। তবে প্রতিমঞ্চ পাতাটি সময়ের দীর্ঘ ব্যাপ্তিতে চলমান জীবন ও জীবন ঘনিষ্ঠ অসঙ্গতি নিরসণে সমাজের মানুষের মধ্যে সামষ্টিক করণীয় সৃষ্টিতে আরও জোরদার ভূমিকা রাখবে এই প্রত্যাশা।
জনস্বাস্থ্যবিষয়ক প্রতিবেদনগুলো পাঠককে সচেতন করছে
ডা. মোহাম্মদ যায়েদ হোসেন : ঢামেক টেলিমেডিসিন বিভাগের কো-অর্ডিনেটর ও সহযোগী অধ্যাপক, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল।
যুগান্তরকে শুভেচ্ছা। যুগান্তরের প্রতিবেদন পাঠক মহলে বিশ্বস্ত। যুগান্তরের অন্যতম ফিচার পাতা প্রতিমঞ্চ পাঠকদের নানা বিষয়ে সচেতন করছে এবং নীতিনির্ধারকদের সঠিক পদক্ষেপ নিতে সাহায্য করছে। পাতাটি গ্যাস্ট্রিক, চিকনগুনিয়া, ডেঙ্গু জ্বরসহ জনস্বাস্থ্য বিষয়ক বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।
ডাক্তারদের পরামর্শকে তারা সাধারণ পাঠকের কাছে পৌঁছে দেন আবার সাধারণ মানুষের কষ্টের কথা নীতিনির্ধারকদের টেবিলে তুলে ধরেন। প্রতিমঞ্চের এই মহতী কাজ অব্যাহত থাকুক। যুগান্তর এগিয়ে চলুক।
প্রবীণবান্ধব সমাজ গড়ায় প্রতিমঞ্চ তথা যুগান্তর পাশে রয়েছে
অধ্যাপক এএসএম আতিকুর রহমান : মহাসচিব, প্রবীণ হিতৈষী সংঘ
রাজনীতি, সংস্কৃতি, ক্রীড়া এবং শিক্ষা বিষয়ক প্রতিবেদনের বাইরেও সামাজিক বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ সংবাদ মাধ্যমে আসা উচিত। গত দুই দশকে যুগান্তর সামাজিক ক্ষেত্রেও মানুষকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য সহযোগিতা করছে।
সবাই শিশুদের কথা বলে, যুবকদের কথা বলে কিন্তু বয়স্কদের কথা বলে না। বার্ধক্য বিষয়টি গণমাধ্যমে প্রায় নাই বললেই চলে। তবে আমরা বাংলাদেশের প্রবীণদের পক্ষ থেকে এই ক্ষেত্রে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি যে, যুগান্তর তাদের এই অভিযাত্রায় বেশ কয়েকবারই বার্ধক্য বিষয়ে সংবাদ এবং ফিচার তুলে ধরেছে। বার্ধক্যের হার এমনভাবে আসছে যে আমাদের যৌবনা পৃথিবী ক্রমেই ঝিমিয়ে যাচ্ছে। তাই এখন থেকেই প্রবীণবান্ধব সমাজ গড়া দরকার।
অনুসন্ধানী অগ্রযাত্রা অব্যাহত থাকুক
মো. সারওয়ার আলম : আইন কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট (র্যাব)
যুগান্তরের জন্মদিনে প্রত্যাশা জনমানুষের কল্যাণে, সত্যের সন্ধানে পত্রিকাটি যেন তাদের এ অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখে। যুগান্তরে প্রতি মঙ্গলবার প্রকাশিত প্রতিমঞ্চ পাতাটা মাঝেমধ্যে দেখার সুযোগ হয়। যেখানে সমাজের নানা অসঙ্গতি, ভোগান্তিসহ সমসাময়িক বিভিন্ন ইস্যুতে এক পৃষ্ঠার পুরো আয়োজন থাকে।
বিষয়টি অত্যন্ত চমৎকার। ভেজাল ও নকল পণ্য, ভেজাল খাবার, নকল ও বিক্রয় নিষিদ্ধ ওষুধ বিক্রয়, চিকিৎসা ক্ষেত্রে নানা অনিয়ম এবং মাদক নির্মুল ও প্রতারণাসহ বিভিন্ন বিষয়ে অভিযান পরিচালনা করে থাকি। প্রতিমঞ্চ পাতায় এসব বিষয়ে প্রকাশিত একাধিক প্রতিবেদন আমার নজরে এসেছে।
আসলে এমন প্রতিবেদন সাধারণ পাঠক এবং আমরা যারা দায়িত্বশীল পর্যায়ে আছি তাদের জন্য অত্যন্ত উপকারী। আশা করছি, সামনের দিনগুলোয় প্রতিমঞ্চ পাতা তাদের অনুসন্ধানী অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখবে। যুগান্তর ও প্রতিমঞ্চের জন্য শুভকামনা।
সামাজিক অসংগতিকে আরও বেশি করে তুলে ধরবে
অধ্যাপক ড. এএসএম আমানউল্লাহ : সমাজবিজ্ঞান বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
বাংলাদেশ এক ক্রান্তিকাল অতিক্রম করছে। সামাজিক, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক এবং সাংস্কৃতিক এ চারটি ক্ষেত্রেই বাংলাদেশ এক ক্রান্তিকাল পার করছে। সরকারি প্রতিটি অফিসে অফিসে দুর্নীতি। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে কোনো আন্তর্জাতিক মানের গবেষণা নেই। শিক্ষকরা অন্ধ দলীয় রাজনীতির গোলাম।
ফলে পুরো সমাজব্যবস্থায় একটা ক্রান্তিকাল যাচ্ছে। এমন পরিস্থিতির মধ্যে যুগান্তর সাহসীকতার সঙ্গে সংবাদ পরিবেশন করে যাচ্ছে। এটি প্রশংসার দাবিদার। সেই সঙ্গে প্রতিমঞ্চ পাতা যেভাবে একটি বিষয়কে বিস্তারিতভাবে তুলে ধরছে তা যে কাউকে চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দেয়। আমি আগামী দিনে প্রত্যাশা করব যুগান্তর সামাজিক অসঙ্গতিকে আরও বেশি করে তুলে ধরে সমাজকে পরিশীলিত করতে অবদান রাখবে।
নেগেটিভ নিউজের পাশাপাশি পজিটিভ সংবাদও প্রকাশ করুক প্রতিমঞ্চ
আবুল খায়ের : সভাপতি, ক্র্যাব
যুগান্তরের প্রতিমঞ্চ পাতাটি আমার পড়া হয়। পাতাটিতে সাধারণ মানুষের কথাই তুলে ধরা হয়। সামনের দিনগুলোতে সমাজের অসঙ্গতি দূর করতে সবসময় প্রতিমঞ্চ কাজ করবে আমার বিশ্বাস। তবে সব সাংবাদিকের একটি বিষয় মনে রাখাতে হবে- আমাদের দেশে অসংখ্য পত্রিকা রয়েছে সেই সঙ্গে পত্রিকাগুলোয় বেশিরভাগ নেগেটিভ নিউজ প্রকাশ হয় বেশি। পৃথিবীর কোথাও এমনটি দেখা যায় না। আমার প্রত্যাশা যুগান্তর নেগেটিভ নিউজের পাশাপাশি পজিটিভ নিউজও প্রকাশ করবে।
পর্যটনশিল্পের বিকাশে প্রতিমঞ্চ জোরাল ভূমিকা রাখছে
মুহাম্মদ জাভেদ হাকিম : চিফ অর্গানাইজার দে-ছুট ভ্রমণ সংঘ
যুগান্তরে মঙ্গলবার প্রতিমঞ্চ নামে একটি বিশেষ পাতা বের হয়। এখানে সমাজের বিভিন্ন অনিয়মগুলো, গঠনমূলক বর্ণনার মাধ্যমে তুলে ধরা হয়। দেশের পর্যটন শিল্পের বিকাশের ক্ষেত্রে অন্যতম প্রধান অন্তরায় হল যোগাযোগ ব্যবস্থার ওপর করা ধারাবাহিক চারটি সংখ্যা ভ্রমণ সংগঠন দে’ছুট-এর একজন সংগঠক হিসেবে আমাকে বেশ আলোড়িত করে।
আগামীতে পর্যটনকেন্দ্রগুলোতে পর্যটকদের সেবার নামে টাকা কামানোর ফাঁদ সম্পর্কে বিশদভাবে তুলে ধরার আহ্বান করছি। প্রতিমঞ্চের লেখনিতে নৈসর্গিক জায়গাগুলোতে পর্যটকরা যেন অবাঞ্ছিত হকার, টাউট-বাটপারদের দৌরাত্ম্য থেকে পরিত্রাণ পায় এটিই চাই।
যুগান্তর এ পাতাটির মাধ্যমে যুগ পাল্টাতে ভূমিকা রাখছে
অধ্যাপক রোবায়েত ফেরদৌস : গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।
আমাদের সংবাদমাধ্যমগুলোর প্রধান উপজীব্য হল রাজনীতি এবং অপরাধ। টেলিভিশন টকশো কিংবা পত্রিকায় সামাজিক সমস্যাগুলো যেমন- মাদক, ইভটিজিংসহ সামাজিক ব্যাপারগুলোতে খুব বেশি গুরুত্ব দেয় না। যুগান্তরের এই পাতায় (প্রতিমঞ্চ) বিশেষ করে সামাজিক সমস্যাকে যে প্রধান বিবেচনা করছে, গুরুত্বপূর্ণ মনে করছে এবং সপ্তাহে যে একটি পৃষ্ঠা বরাদ্দ করছে এটিকে আমি খুবই ইতিবাচক হিসেবে দেখি।
কেবল রাজনীতি বা অপরাধই আমাদের মূল জায়গা হতে পারে না। এর বাইরেও যে সামাজিক বিষয়গুলো আছে এই সমস্যাগুলোকে যদি সামনে তুলে ধরা হয় এটা খুবই ইতিবাচক। এতে অনুসন্ধানী প্রতিবেদন থাকে, ব্যাখ্যামূলক প্রতিবেদন থাকে, ফিচার থাকে এবং ছবি থাকে। এগুলো খুবই আকর্ষণীয় হয় এবং পাঠকের কাছে গ্রহণযোগ্যতা পায়।
বাংলাদেশে স্বাধীন এবং নির্ভীক সাংবাদিকতায় যুগান্তর বড় ভূমিকা রেখে চলেছে বহুদিন থেকেই। নামটিই অনেক সুন্দর ‘যুগান্তর’। যুগ পাল্টানোর চিন্তা যে করে। এই পাতাটির মাধ্য দিয়ে সেই যুগ পরিবর্তনের, যুগ বদলের যে জায়গা সেটি যুগান্তর আরও সামনে এগিয়ে নিয়ে যাবে এই প্রত্যাশা আমি করছি।
ফলোআপ নিউজ চাই
সাইফুদ্দিন আহমেদ : সমন্বয়কারী, বাংলাদেশ তামাকবিরোধী জোট
পাঠকদের নিয়ে প্রায় দুই দশকের কাছাকাছি সময় অতিক্রম করছে যুগান্তর। যুগান্তরের এ দীর্ঘপথ চলা ও উনিশ বছরপূর্তিতে শুভকামনা। সমাজের নানা অসঙ্গতি নিয়ে প্রতিমঞ্চে যে সংবাদগুলো প্রকাশিত হয় নির্দিষ্ট সময় পর পর তার ফলোআপ হওয়া প্রয়োজন।
প্রতি তিন মাস পরপর যদি বিষয়গুলো নিয়ে ফলোআপ হয়। তাহলে সমস্যা সমাধানে কতটা অগ্রগতি হল, সেটি জানা যাবে। আমরা প্রত্যাশা করি, শুধু সমস্যা নিয়ে আলোচনাই নয়। সমস্যা সমাধানেও প্রতিমঞ্চ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
সুন্দর বাংলাদেশ বিনির্মাণে প্রতিমঞ্চ বিশেষ ভূমিকা রাখবে
গাউস পেয়ারি : পরিচালক, ওয়ার্ক ফর বেটার বাংলাদেশ ট্রাস্ট
ওয়ার্ক ফর বেটার বাংলাদেশ ট্রাস্টের পক্ষ থেকে যুগান্তরের উনিশ বছরপূর্তিতে অভিনন্দন। প্রতিমঞ্চ প্রতি সপ্তাহে যেভাবে একটি সমস্যা নিয়ে বিশদ আলোচনা করে তাতে সমস্যার গভীরে যাওয়া সম্ভব হয়। কিন্তু সমস্যাগুলোর সমাধানের তেমন তথ্য থাকে না।
আমরা প্রত্যাশা করি, প্রতিমঞ্চের প্রতিটি সংখ্যায় ছোট করে হলেও সমস্যাগুলোর সমাধান নিয়ে আলোচনা হবে। ফলে পাঠক ও নীতিনির্ধারণী পর্যায়ে সমস্যা সমাধানে দিকনির্দেশনা পাবে। আমরা বিশ্বাস করি, সমস্যাগুলো সমাধানের মাধ্যমেই আমরা সুন্দর ও বাসযোগ্য বাংলাদেশ গড়ে তুলতে পারব। সুন্দর বাংলাদেশ বিনির্মাণে প্রতিমঞ্চ বিশেষ ভূমিকা রাখবে।
দেশের অগ্রগতিতে ভূমিকা রেখেছে
অ্যাডভোকেট সৈয়দ মাহবুবুল আলম : সেক্রেটারি, সেন্টার ফর ল’ অ্যান্ড পলিসি অ্যাফেয়ার্স
যুগান্তরের দুই দশকে পদার্পণে আন্তরিক অভিনন্দন। বিগত বছরগুলোয় যুগান্তর পরিবার দেশের মানুষের সমস্যা, সুযোগ, সীমাবদ্ধতার কথাগুলো তুলে ধরার মাধ্যমে দেশের অগ্রগতি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। দেশের ইতিবাচক কোনো সংবাদ আর কাজ মানুষের মনে আশা জাগায়, মানুষকে স্বপ্ন দেখায়।
আগামী দিনগুলোয় যুগান্তর পরিবার দেশের অগ্রগতির পথের প্রতিবন্ধকতা এবং ইতিবাচক কাজগুলো তুলে ধরার মাধ্যমে দেশের মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠায় কাজ করে যাবে এটাই প্রত্যাশা।
সত্যের সন্ধানে যুগান্তরের অগ্রযাত্রা অব্যাহত থাকুক
জুনাইদ আহমেদ পলক : প্রতিমন্ত্রী, ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়, তথ্য প্রযুক্তি বিভাগ
সফলতার সঙ্গে দীর্ঘ ১৯ বছর পাড়ি দেয়ায় যুগান্তরকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। যুগান্তরের প্রতিমঞ্চ পাতাটা মাঝে মাঝে দেখার সুযোগ হয়। যেখানে সমাজের নানা অসঙ্গতি, ভোগান্তির বিষয়গুলো তুলে ধরে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়। বিষয়টি আমি অত্যন্ত ইতিবাচকতার সঙ্গে দেখি।
এর ফলে আমরা যারা দায়িত্বশীল জায়গায় আছি তাদের জন্য সমাধানের কাজগুলো করা সহজ হয়। প্রতিমঞ্চ পাতায় প্রকাশিত ফোরজি নেটওয়ার্ক বিড়ম্বনা, সাইবার অপরাধের ঝুঁকি, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অসামাজিক ও অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের বিভিন্ন প্রতিবেদন আমার নজরে এসেছে। আমি বিষয়গুলো সমাধানে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনাও দিয়েছি। আশাকরছি সামনের দিনগুলোতেও যুগান্তর ও প্রতিমঞ্চ সত্যের সন্ধ্যানে যে অগ্রযাত্রা সেটি অব্যাহত রাখবে।
পরিবেশ রক্ষার হাতিয়ার হোক প্রতিমঞ্চ
আবু নাসের খান : চেয়ারম্যান, পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলন
যুগান্তরের উনিশ বছরপূর্তিতে আন্তরিক অভিনন্দন। প্রতিমঞ্চের অগ্রগতি ও সফলতা কামনা করছি। শত প্রতিকূলতার মধ্যেও যুগান্তর দেশের পরিবেশ রক্ষার আন্দোলনে পরিবেশকর্মীদের পক্ষে দাঁড়িয়েছে। যুগান্তরের এ ভূমিকা অব্যাহত থাকুক।
যুগান্তরে প্রতিমঞ্চ পাতায় পরিবেশের ওপর অসংখ্য প্রতিবেদন আমার নজরে এসেছে। বিষয়টি অত্যন্ত প্রশংসার। আগামীতে প্রতিমঞ্চ হোক পরিবেশ রক্ষার হাতিয়ার। নতুন প্রজন্মকে সুস্থ রাখতে পরিবেশ বিষয়ে আরও বেশি বেশি সংবাদ প্রত্যাশা করছি।
প্রতিমঞ্চ সময়োপযোগী ভূমিকা রাখছে
প্রকৌশলী মো. ফারুক শাজেদ : মহাসচিব, বাংলাদেশ মেনস রাইটস ফাউন্ডেশন
সমসাময়িক সামাজিক বিযয়গুলোকে প্রাধান্য দিয়ে প্রকাশিত ‘প্রতিমঞ্চ সত্যিই সময়োপযোগী ভূমিকা পালন করছে। পুরুষের মানবাধিকার এ সমাজে প্রতিনিয়ত লঙ্ঘিত হচ্ছে। সমাজ ও রাষ্ট্রে পুরুষরা চরমভাবে নির্যাতন ও বৈষম্যের শিকার হচ্ছে আজ।
প্রতিমঞ্চ একবার এ বিষয়ে এক পৃষ্ঠার আয়োজন করেছিল যা সেই সময়ে বেশ আলোড়ন ফেলেছিল। পুরুষের মানবাধিকার রক্ষায় প্রতিমঞ্চ কাজ করুক সেই প্রত্যাশাই করছি।
প্রতিমঞ্চ মানুষের দুর্ভোগের কথা বলে
মোজাম্মেল হক চৌধুরী : মহাসচিব, যাত্রী কল্যাণ সমিতি
যুগান্তর মানুষের দুর্ভোগ, কষ্ট থেকে উত্তরণের জন্য যে সাহসী যাত্রা অব্যাহত রেখেছে সেজন্য প্রতিষ্ঠানটিকে স্বাগত জানাই। বিগত সময়ে আমাদের যাত্রী দুর্ভোগ, ভাড়া নৈরাজ্য, সড়ক নিরাপত্তা এবং সড়কে অন্যান্য প্রাসঙ্গিক ঘটনা যেমন- গণপরিবহনে যৌন হয়রানিসহ অন্যান্য বিষয়গুলোতে যুগান্তর সবসময় সোচ্চার ছিল এবং যুগান্তরের একটা আপসহীন ভূমিকা ছিল। আজকের যে উন্নত সমৃদ্ধ বাংলাদেশের আমরা স্বপ্ন দেখছি সেখানে যুগান্তরের একটা উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রয়েছে বলে মনে করি।
সমাজের ইতিবাচক পরিবর্তনে এ অগ্রযাত্রা অব্যাহত থাকুক
মুফতি মিনহাজ উদ্দীন : মহাসচিব, জাতীয় ইমাম সমাজ বাংলাদেশ
সমাজের প্রতি দায়বদ্ধতা থেকেই যুগান্তর প্রতি সপ্তাহে প্রতিমঞ্চ নামের একটি বিশেষ পাতা বের করে। যেখানে সমাজের নানা অসঙ্গতি, জনদুর্ভোগ এবং সমসাময়িক বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশ করে। বিষয়টি আগামীর সুন্দর বাংলাদেশ গঠনে ইতিবাচক ভূমিকা রাখছে।
‘সম্মানিত ইমাম-মুয়াজ্জিনদের দুঃখগাথা’ শিরোনামে প্রতিমঞ্চের প্রতিবেদনটির কথা বলতেই হয়। যেটি পরবর্তী সময়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে সক্ষম হয়েছিল। সমাজের ইতিবাচক পরিবর্তনে প্রতিমঞ্চের এ অগ্রযাত্রা অব্যাহত থাকুক।
প্রতিমঞ্চ মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে কথা বলে
সঞ্জিত চন্দ্র দাস : সভাপতি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ
দীর্ঘ দুই দশক পথ চলার শুভেচ্ছা। বিগত দিনে যুগান্তর ও প্রতিমঞ্চ শিক্ষার্থীদের নানা যৌক্তিক দাবির পক্ষে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। ছাত্র সংসদ নির্বাচন নিয়ে প্রতিমঞ্চ বিস্তারিত প্রতিবেদন করেছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের দাবি দাওয়াকে তুলে ধরেছে। প্রশ্ন জালিয়াতি চক্রের বিরুদ্ধে এবং মাদকের বিরুদ্ধে একাধিক প্রতিবেদন ছাপিয়েছে।
আমরা সব সময় মাদকের বিরুদ্ধে কথা বলে আসছি। আমরা বিশ্বাস করি কোন শিক্ষার্থী প্রশ্ন জালিয়াতির সঙ্গে যুক্ত থাকতে পারে না। যারা এমন কাজ করবে তাদের ছাত্রত্ব বাতিলসহ প্রচলিত আইনে শাস্তি হওয়া চাই। আগামী দিনেও প্রতিমঞ্চ মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে কথা বলবে এবং স্বাধীনতার স্বপক্ষের শক্তি হয়ে যুগ পরিবর্তনে অবদান রাখবে এই প্রত্যাশা করছি।
প্রতিমঞ্চ সময়োপযোগী এবং বিষয়ভিত্তিক সমস্যাগুলো তুলে ধরে
নুরুল হক নুর : কোটা সংস্কার আন্দোলনের নেতা ও যুগ্ম আহ্বায়ক, বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ।
প্রতি মঙ্গলবার যুগান্তরে প্রকাশিত ‘প্রতিমঞ্চ’ পাতায় শিক্ষিত তরুণদের বেকার সমস্যা এবং বেকারত্ব নিরসনে কর্মসংস্থানের নানা দিক, চাকরিতে কোটা সংস্কারের প্রয়োজনীয়তা, বয়স বৃদ্ধি, বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের কষ্ট লাঘবে সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষা, ছাত্রসংসদ নির্বাচনের প্রয়োজনীতা, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি নিয়ে তরুণদের প্রয়োজনীয় বিষয়ে সম্যক ধারণা সৃষ্টির প্রয়াসগুলো তরুণদের দারুণভাবে আকৃষ্ট করেছে।
এছাড়াও এ পাতাটি মানুষের মধ্যে সামাজিক সচেতনতা সৃষ্টির পাশাপাশি ও পেশাজীবীদের নানা সমস্যা তুলে ধরে কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণের মাধ্যমে সমাধানে বিশেষ ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে যা সত্যিই প্রশংসনীয়। আশা করি পত্রিকাটি সংবাদ উপস্থাপনে তাদের বস্তুনিষ্ঠতা, নিরপেক্ষ বিশ্লেষণ ও স্বচ্ছতা ধরে রেখে সামনের দিনগুলোতে আরও এগিয়ে যাবে।
প্রতিমঞ্চ পাঠকের হৃদয় জয় করেছে
মো. ইমতিয়াজ হোসেন : সভাপতি, বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র পরিষদ (কেন্দ্রীয় কমিটি)
সময়ের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ কোনো বিষয়, কোনো সংকট নিরসনে সঠিক উপায় খুঁজে বের করে পাঠকের সামনে তুলে ধরে ‘প্রতিমঞ্চ’ সত্যিই পাঠকের হৃদয় জয় করেছে। আলোচিত কিছু বিষয় যেমন- ৪ কোটি কর্মহীন বেকারের কর্মক্ষেত্র তৈরির উদ্যোগের প্রয়োজনীয়তা, চাকরিতে প্রবেশের বয়স বাড়ানো, মেধা পাচার রোধ, নিয়োগ বাণিজ্যের কুফল, ভর্তি বাণিজ্য, কোচিং বাণিজ্যের বিষয়সহ অন্যান্য আলোচিত বিষয়ে একাধিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে প্রতিমঞ্চ। সামনের দিনগুলোতেও এ অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখার প্রত্যাশাই থাকবে।
গ্রন্থনা : যাকারিয়া ইবনে ইউসুফ, এম এস আই খান, সৈয়দ সাইফুল আলম শোভন এবং হাসান সাইদুল।
অফিস : ৪৪-ক, অতিশ দীপঙ্কর রোড, মুগদা, ঢাকা । সম্পাদকীয় কার্যালয় : আরএস ভবন, ১২০/এ মতিঝিল, ঢাকা
মোবাইল : ০১৭৫৩-৫২৬৩৩৩ ই-মেইল : dainikkalerkhobor5@gmail.com
কারিগরি সহযোগিতায় ফ্লাস টেকনোলজি