রবিবার, ০৫ মে ২০২৪, ০৫:২৯ পূর্বাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
আগুন পুড়ছে সুন্দরবন, নেভানোর আপ্রাণ চেষ্টা। কালের খবর জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহ ২০২৪ উপজেলা পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ শ্রেণি শিক্ষক – শিপ্রা রানী দে। কালের খবর জাতীয় প্রেস ক্লাবের সভাপতি ও সংরক্ষিত মহিলা সংসদ সদস্যকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান তারুণ্যের অহংকার আবিদ হাসান রুবেল। কালের খবর কক্সবাজারে সাইফুল বাহিনীর প্রধান গ্রেপ্তার। কালের খবর তাড়াশে ইরি বোরো ধান কাটা শুরু। কালের খবর কাজ করতে গিয়ে বাড়িতে ফিরলো শ্রমিকের লাশ!। কালের খবর কুষ্টিয়ায় পানি সংকটে খাদ্য উৎপাদনে বিপর্যয়ের শঙ্কা। কালের খবর ডেমরায় ৬৭ নং ওয়ার্ডের মেহনতি মানুষের মাঝে খাবার পানি, স্যালাইন বিতরণ করেন জননেতা তৌফিকুর রহমান শাওন। কালের খবর যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মোজাম্মেলের বিরুদ্ধে মামলা। কালের খবর সাতক্ষীরায় মহান মে দিবস উপলক্ষে র‍্যালী। কালের খবর
নড়িয়া ও জাজিরায় পদ্মার ভাঙন প্রতিরোধ প্রকল্প : অনভিজ্ঞ ঠিকাদারের হাতে ১১শ’ কোটি টাকার কাজ। কালের খবর

নড়িয়া ও জাজিরায় পদ্মার ভাঙন প্রতিরোধ প্রকল্প : অনভিজ্ঞ ঠিকাদারের হাতে ১১শ’ কোটি টাকার কাজ। কালের খবর

কালের খবর প্রতিবেদক :

বর্ষা মৌসুমের আগে কাজ শেষ না হলে শরীয়তপুরের নড়িয়া ও জাজিরা উপজেলায় পদ্মার ভাঙন প্রতিরোধে নেয়া প্রায় পৌনে ১১শ’ কোটি টাকার প্রকল্প ভেস্তে যাবে। এমন আশঙ্কার কথা উল্লেখ করে পরিদর্শন প্রতিবেদন জমা দেয়া হয়েছে।

অনভিজ্ঞ ঠিকাদার নিয়োগকে প্রধান কারণ উল্লেখ করে প্রতিবেদনে আশঙ্কা প্রকাশ করে বলা হয়েছে, মে মাসের মধ্যে দ্রুত কাজ শেষ করতে না পারলে ভয়াবহ বিপর্যয় নেমে আসবে। এ কাজের গুরুত্ব বুঝতে না পারলে ঠিকাদারের পক্ষে প্রকল্প বাস্তবায়ন করা সম্ভব হবে না। ১৭ জানুয়ারি পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) চিফ মনিটরিং ও টাস্কফোর্স প্রধান কাজী তোফায়েল হোসেন প্রতিষ্ঠানটির মহাপরিচালকের কাছে এ প্রতিবেদন দেন।

সরেজমিন দেখা গেছে, শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলা ও জাজিরা এলাকায় পদ্মার ভাঙনে ইতিমধ্যে বিলীন হয়ে গেছে বহু ঘরবাড়ি ও সরকারি বিভিন্ন স্থাপনা। প্রলয়ঙ্করী পদ্মার পেটে চলে গেছে নড়িয়ার প্রায় সাড়ে তিন কিলোমিটার এলাকা। সরকারি হিসাবে গৃহহীন হয়েছেন ৫ হাজার ৮১ জন।

তবে বেসরকারি হিসাবে এ তালিকা ৭ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। ভাঙনে এরই মধ্যে এ উপজেলার সরকারি হাসপাতালের মূল ভবন, চরজুজিরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, পূর্ব নড়িয়া সরকারি বিদ্যালয়, সাধুর বাজার, চণ্ডিপুর বাজার, সুরেশ্বর লঞ্চঘাট, ওয়াপদা বাজার ও লঞ্চঘাট, মূলফ বাজারের একটি বড় অংশসহ কেদারপুর ইউনিয়ন পদ্মায় বিলীন হয়েছে।

এছাড়া মোক্তারের চর, পাঁগাও, বাঁশতলা এলাকায়ও ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। অন্যদিকে জাজিরা উপজেলায় পদ্মার ভাঙনের কবলে পড়েছে পালেরচর, কুণ্ডেচর, বিলাশপুর ইউনিয়নের অনেক এলাকা।

এ অবস্থায় পদ্মার ভাঙন প্রতিরোধে ১ হাজার ৭৭ কোটি টাকার প্রকল্প গ্রহণ করে। কিন্তু যে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান নদীভাঙন প্রতিরোধে কাজ করছে পাউবোর কোনো প্রকল্পে তাদের কাজের পূর্ব অভিজ্ঞতা নেই বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।

পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী একেএম এনামুল হক শামীম যুগান্তরকে বলেন, ‘শরীয়তপুরের নড়িয়া ও জাজিরা প্রকল্প এলাকা শনিবার পরিদর্শন করেছি। ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানকে কাজের গতি বাড়াতে কঠোর নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। ইতিমধ্যে ডাম্পিং বেড়েছে।’

অনভিজ্ঞ সাব-কন্ট্রাক্টরের অভিযোগের বিষয়ে উপমন্ত্রী বলেন, ‘আসলে আমরা দায়িত্ব নেয়ার আগে পদ্মার ভাঙন প্রতিরোধে প্রকল্পটির ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে কাজের অনুমোদন দেয়া হয়েছে। যখন এ প্রকল্প অনুমোদন হয় তখন আমি ছিলাম নদীভাঙন এলাকার একজন সাধারণ মানুষ।

এখন এলাকার স্বার্থে এ প্রকল্প বাস্তবায়ন অনেকটা চ্যালেঞ্জ হিসেবেই নিয়েছি।’ তিনি বলেন, ‘শুধু পদ্মা নয়, সব নদীভাঙন কবলিত এলাকায় যাতে যথাযথভাবে স্পেসিফিকেশন অনুযায়ী প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হয় সে ব্যাপারে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেয়া হবে।’

জরুরি ও জনগুরুত্বপূর্ণ কাজ মূল ঠিকাদার সাব-কন্ট্রাক্ট দিতে পারেন কিনা জানতে চাইলে পাউবোর মহাপরিচালক মাহফুজুর রহমান যুগান্তরকে বলেন, ‘ওপেন টেন্ডারের মাধ্যমে যেসব ঠিকাদার কাজ পেয়ে থাকেন তাদের সাব-কন্ট্রাক্ট দেয়ার কোনো সুযোগ নেই। কিন্তু ডিপিএম (ডায়রেক্ট প্রকিউরমেন্ট মেথড) পদ্ধতিতে কাজ দেয়া হলে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান আসলে সাব-কন্ট্রাক্ট দিতে পারে কিনা তা আমার জানা নেই।’

বাস্তবায়নকারী ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের অনভিজ্ঞতার বিষয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘খুলনা শিপইয়ার্ড লিমিটেড যাদের সাব-কন্ট্রাকটর হিসেবে নিয়োগ দিয়েছে তাদের পানি উন্নয়ন বোর্ডে কাজ করার কোনো অতীত অভিজ্ঞতা নেই।

ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানটির এ অনভিজ্ঞতার কারণে আগামী বর্ষা মৌসুমে প্রকল্প এলাকায় যে কী ধরনের ভয়াবহ বিপর্যয় নেমে আসতে পারে সে ব্যাপারে তারা কোনো ধারণা করতে পারছেন বলে মনে হয় না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের কাজের সঙ্গে অন্যান্য ডিপার্টমেন্টের কাজের পার্থক্য বুঝতে না পারলে ঠিকাদারের পক্ষে এ ধরনের কাজ বাস্তবায়ন করা সম্ভব হবে না।’

খুলনা শিপইয়ার্ডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক কমোডোর মো. আনিসুর রহমান মোল্লাহ সোমবার যুগান্তরকে বলেন, ‘পানি উন্নয়ন বোর্ড প্রকল্পটি ২০১২ থেকে ২০১৫ সাল কাজ করতে পারেনি। এ করতে করতে কিন্তু সাড়ে ৩ কিলোমিটার ভেঙে গেছে। ২০১৮ সালের শেষ দিকে এ কাজের চুক্তি স্বাক্ষর করেছি আমরা।

৬-৭ বছরে পাউবো যেটা করতে পারেনি, মাত্র ২-৩ মাসে সেটা করতে পেরেছি। অন্তত এক লাখ জিও ব্যাগ ফেলা হয়েছে। ১৮ থেকে ২০ লাখ জিও ব্যাগ ফেলতে হবে মে মাসের মধ্যে। এটা করতে পারলে আগামী বছর ভাঙন রোধ হবে। এত বড় প্রকল্প মোবিলাইজেশনেওতো টাইম লাগে।’

তিনি বলেন, ‘অন্য ঠিকাদার কাজ করলেও সার্বক্ষণিকভাবে আমরাই পদ্মার ভাঙন প্রতিরোধ প্রকল্পের কাজটি তদারকি করছি। এখানে কোনো ধরনের শৈথিল্যের অবকাশ নেই।’

সাব-কন্ট্রাক্টরের অনভিজ্ঞতার অভিযোগ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, অভিজ্ঞতা না থাকলে তারা রাজবাড়ী ও নরসিংদীতে কাজ করছে কিভাবে? যারা এ ধরনের অভিযোগ করছে তারা ঠিক করছে না। বিষয়টি নিয়ে আগামীকাল (আজ) মন্ত্রণালয়ে একটি মিটিং আছে। নির্দিষ্ট সময়ের আগে কাজটা শেষ করতে সর্বাত্মক চেষ্টা করছি, যেন আগামী বছর নড়িয়া ও জাজিরাবাসীকে ভাঙন থেকে রক্ষা করা যায়।’

পদ্মার ভাঙন প্রতিরোধ প্রকল্পে সাব-কন্ট্রাকটরের কাজ প্রসঙ্গে পাউবোর চিফ মনিটরিংয়ের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘নড়িয়া উপজেলা ও জাজিরা এলাকায় ‘পদ্মা নদীর ডান তীর রক্ষা’ শীর্ষক প্রকল্পের সাইট পরিদর্শন করা হয়। উল্লিখিত প্রকল্পের আওতায় জিও ব্যাগ (বালু ভর্তি বস্তা) ডাম্পিং কাজ গত বছরের ১২ ডিসেম্বর থেকে শুরু হয়। কিন্তু ডাম্পিং কাজের গতি অত্যন্ত মন্থর।’

মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনার উদ্ধৃতি দিয়ে কাজী তোফায়েল হোসেন এ বিষয়ে বলেন, ‘এ প্রকল্পের আওতায় জরুরি ভিত্তিতে ৪ কিলোমিটার দৈর্ঘ্য নদী তীর সংরক্ষণ কাজে মোট ১৮ লাখ জিও ব্যাগ ডাম্পিংয়ের জন্য নির্ধারণ করা হয়।

কিন্তু প্রকল্প এলাকার আওতার বাইরে উজান ও ভাটিতে ভাঙন অব্যাহত থাকায় আরও দুই কিলোমিটার দৈর্ঘ্যে কাজ করতে হবে। এক্ষেত্রে জিও ব্যাগের লক্ষ্যমাত্রা হবে ২৮ লাখ। বর্তমানে তিনটি বার্জের (বালু ভর্তি জিও ব্যাগ পরিবহনে ব্যবহৃত লঞ্চ টার্মিনালের পন্টুনের মতো) মাধ্যমে ১৬ জানুয়ারি পর্যন্ত মোট ৬১ হাজার ৪০২টি জিও ব্যাগ ডাম্পিং করা হয়েছে।’

কাজের মন্থর গতির বিষয়টি উল্লেখ করে প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘১৬ জানুয়ারি ১ দিনে সর্বোচ্চ ডাম্পিং হয়েছে ৬ হাজার ৩৩২ ব্যাগ। প্রতিদিন গড়ে ৬ হাজার ব্যাগ ডাম্পিং করা হলে ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত ডাম্পিং হবে ১ লাখ ৫ হাজার জিও ব্যাগ।’ বিষয়টির গুরুত্ব বোঝাতে গিয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘প্রকল্পের বাকি ২৬ লাখ ৫ হাজার জিও ব্যাগ ডাম্পিং কাজ ৩০ মের মধ্যে শেষ করতে হলে ১ ফেব্রুয়ারি থেকে প্রতিদিন ডাম্পিং করতে হবে গড়ে প্রায় ২৫ হাজার ব্যাগ।

তার মধ্যে ২০ হাজার ব্যাগ ডাম্পিং করতে হবে বার্জ দ্বারা এবং ৫ হাজার ব্যাগ ডাম্পিং/প্লেসিং (পাড় বাঁধাই) করতে হবে নৌকা এবং নদীর পাড় থেকে। এ গতিতে ডাম্পিং করা না গেলে ১৫ দিন পরে লক্ষ্যমাত্রা এমন আকার ধারণ করবে যা বাস্তবায়ন করা আর সম্ভব হবে না। বন্যায় ভয়াবহ রূপ ধারণ করবে পদ্মা।

প্রবল স্রোতের কারণে তখন আর বার্জ ব্যবহার করা যাবে না।’ এ বিষয়ে বলা হয়, ‘অপরিকল্পিতভাবে জরুরি ভিত্তিতে ডাম্পিং করে ভাঙন রোধে যে সময় এবং অর্থ ব্যয় হবে ততদিনে ভেঙে যাবে আরও বসতবাড়ি, হাটবাজার, স্কুল-কলেজ ও দোকানপাট। বিপর্যয় নেমে আসবে এলাকাজুড়ে।’

গুরুত্বপূর্ণ এ প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘আগামী বর্ষা মৌসুম শুরু হওয়ার আগে মে মাসের মধ্যে কাজ শেষ করতে হলে প্রয়োজন হবে ১২ সেট বার্জের। বর্তমানে প্রকল্প এলাকায় তিন সেট বার্জ দ্বারা কাজ চলছে। ৩টি বার্জ ১০ জানুয়ারি প্রকল্প এলাকায় এলেও এ প্রতিবেদন তৈরি পর্যন্ত ডাম্পিংয়ের উপযোগী করা যায়নি’ বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।

তথ্যানুসন্ধানে জানা গেছে, ভাঙন ভয়াবহ আকার ধারণের পরই সরকার ব্যাপক প্রস্তুতি নেয়। এরই অংশ হিসেবে ‘জাজিরা ও নড়িয়া উপজেলায় পদ্মা নদীর ডান তীর রক্ষা প্রকল্প’ নামে প্রকল্পটি হাতে নেয়। ১ হাজার ৭৭ কোটি টাকার এ প্রকল্প বাস্তবায়নকাল ধরা হয় ২০১৭ থেকে ২০২১। ২০১৮ সালের ২ জানুয়ারি জরুরি প্রকল্পটি একনেক সভায় অনুমোদন পায়। সরকারের শীর্ষ পর্যায় থেকে দ্রুত বাস্তবায়নের তাগিদ দিয়ে ওই মাসের ২৫ তারিখ পরিকল্পনা কমিশন সরকারি আদেশ জারি করে।

৩০ জানুয়ারি পানি সম্পদ মন্ত্রণালয় থেকে প্রশাসনিক আদেশ জারির পর ২০ মার্চ প্রকল্প পরিচালক নিয়োগের আদেশ জারি হয়। এরপর প্রকল্পটি সঠিকভাবে বাস্তবায়নের স্বার্থে ডিপিএম দরপত্র পদ্ধতিতে বাস্তবায়নের জন্য ১৬ মে অর্থনৈতিক বিষয়ক মন্ত্রিসভা কমিটির (সিসিইএ) অনুমোদন পায়। এ প্রক্রিয়া অনুসরণের মধ্য দিয়ে দফায় দফায় বৈঠকের পর ১ হাজার ৭৭ কোটি ৪৮ লাখ ৪৯ হাজার টাকা দরে খুলনা শিপইয়ার্ডকে কাজটি দেয়া হয়।

১৯ সেপ্টেম্বর সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিপরিষদ (সিসিজিপি) কমিটি খুলনা শিপইয়ার্ডকে চূড়ান্ত অনুমোদন দেয়। কাজের মন্থর গতির বিষয়ে পাউবোর চিফ মনিটরিংয়ের প্রতিবেদনের পর ৫টি বার্জ প্রকল্প এলাকায় সচল দেখা গেছে। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বেঙ্গল গ্রুপের একটি প্রতিষ্ঠান প্রকল্পটি সাব-কন্ট্রাক্ট নিয়েছে।

প্রতিষ্ঠানটির ভাইস চেয়ারম্যান জসিম উদ্দিন এটি পরিচালনা করছেন। অনভিজ্ঞতার অভিযোগের বিষয়ে প্রতিষ্ঠানের বক্তব্য নেয়ার চেষ্টা করা হয়। কয়েকবার ফোন দেয়ার পরও জসিম উদ্দিন ফোন রিসিভ করেননি। পরে খুদেবার্তা পাঠিয়ে বক্তব্য চাইলে ফিরতি খুদেবার্তায় তিনি জানান, বিদেশে অবস্থান করায় তার পক্ষে বক্তব্য দেয়া সম্ভব হচ্ছে না।

একপর্যায়ে বেঙ্গল গ্রুপের গুলশানের প্রধান কার্যালয়ে যোগাযোগ করা হয়। এ বিষয়ে কেউ বক্তব্য দিতে রাজি নন বলে জানানো হয়।

দৈনিক কালের খবর নিয়মিত পড়ুন এবং বিজ্ঞাপন দিন..

কালের খবর মিডিয়া গ্রুপ লিমিটেডের একটি প্রতিষ্ঠান
Desing & Developed BY ThemesBazar.Com