সোমবার, ১৫ এপ্রিল ২০২৪, ০২:১৫ অপরাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
যৌথ বাহিনীর অভিযান: থানচি-রুমা-রোয়াংছড়ি ভ্রমণে বারণ সাতক্ষীরার দেবহাটায় ইউপি চেয়ারম্যান ও আ’লীগ সভাপতি সহ আহত পাঁচ। কালের খবর সাপাহারে রাতের অন্ধকারে ফলন্ত আম গাছ কাটল দূর্বৃত্তরা। কালের খবর বাঘারপাড়ায় হাঙ্গার প্রজেক্টের সামাজিক সম্প্রীতি কমিটির সাথে উপজেলা নির্বাহী অফিসার’র মতবিনিময়। কালের খবর রায়পুরায় মরহুম ডাঃরোস্তাম আলীর ২৭ তম মৃত্যুবার্ষিকীতে ইফতার ও দোয়া মাহফিল। কালের খবর ভাতৃত্ববোধ সুদৃঢ় করতে রায়পুরাতে দোয়া ও ইফতার। কালের খবর রিয়াদে বাংলাদেশ প্রবাসী সাংবাদিক ফোরামের ইফতার মাহফিলে প্রবাসীদের মিলন মেলা। কালের খবর ঢাকা প্রেস ক্লাবের পক্ষ থেকে স্বাধীনতা দিবসে গুনীজনদের আলোচনা সভা সম্পন্ন। কালের খবর আরজেএফ’র উদ্যোগে স্বাধীনতা দিবসের আলোচনা সভা ও ইফতার মাহফিল সম্পন্ন। কালের খবর সাতক্ষীরার সুন্দরবন রেঞ্জে ২৪ জন হরিন শিকারীর আত্মসমর্পণ। কালের খবর
মহামারি করোনার থাবা এখন চা শিল্পে : বিক্রি কমে গেছে ৬০ শতাংশ। কালের খবর

মহামারি করোনার থাবা এখন চা শিল্পে : বিক্রি কমে গেছে ৬০ শতাংশ। কালের খবর

 এম আই ফারুক আহমেদ, কালের খবর :

করোনাভাইরাসের কারণে চা শিল্পের সম্ভাব্য ক্ষতি এড়াতে ঝুঁকি নিয়ে বাগানগুলোয় উৎপাদন অব্যাহত রাখা হয়েছিল। তবে বৈশ্বিক এ মহামারির প্রভাব এড়াতে পাড়েনি দেশের চা শিল্প। করোনার কারণে কমে গেছে বেচাকেনা ও দাম। বিপাকে পড়েছেন বাগান মালিকরা। উৎপাদিত চা বিক্রি না হওয়া ও দাম না পাওয়ায় বাগান চালাতে হিমশিম খাচ্ছেন তারা।

বাগান মালিকদের সংগঠন চা সংসদ জানিয়েছে, এবার সিলেট অঞ্চলের বাগানগুলোয় চা উৎপাদন গত বছরের তুলনায় প্রায় ৪০ শতাংশ কমেছে। আর উৎপাদিত চায়ের ৬০ শতাংশ থাকছে অবিক্রীত। দেশের অন্যান্য অঞ্চলের চা বাগানগুলোতেও একই অবস্থা বজায় রয়েছে। এর পেছনে ভূমিকা রেখেছে করোনা মহামারি।

সংগঠনটি বলছে, দেশের বাজারে বছরে প্রায় ৯ কোটি কেজি চায়ের চাহিদা রয়েছে। এর বড় অংশ টং দোকান-হোটেল-রেস্টুরেন্টগুলোয় ব্যবহার হয়। গত মার্চ থেকে দীর্ঘদিন টং দোকান-হোটেল-রেস্টুরেন্ট বন্ধ ছিল। বর্তমানে সীমিত আকারে খুললেও ব্যবসা কমেছে। আদালত বন্ধ। হোম অফিসের কারণে বিভিন্ন দপ্তরগুলোয় পানীয় পণ্যটির ব্যবহার কমে এসেছে। সামগ্রিকভাবে ব্যবহার ও বেচাকেনা কমে যাওয়ায় দেশে নিলামগুলোয় সরবরাহ করা বেশির ভাগ চা অবিক্রীত থেকে যাচ্ছে। ফলে কমছে দাম।

শ্রীমঙ্গলের চা নিলাম কেন্দ্রের তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছর এখন পর্যন্ত এ কেন্দ্র তিনটি নিলাম আয়োজন করা সম্ভব হয়েছে। প্রতিটি নিলামে লক্ষাধিক কেজি চা সরবরাহ হলেও তিন নিলাম মিলিয়ে এক লাখ কেজির সামান্য বেশি চা বিক্রি হয়েছে। গত বছর প্রতিকেজি চা ২০০-২৩০ টাকায় বিক্রি হলেও এবার তা কেজিপ্রতি ১৬০-১৮০ টাকায় নেমে এসেছে। চট্টগ্রামের নিলাম কেন্দ্রেও চায়ের বেচাকেনা ও দামে একই অবস্থা বজায় রয়েছে। অবিক্রীত চায়ের মজুদ ক্রমেই বাড়ছে।

এবিষয়ে ফিনলে টি কম্পানির মালিকানাধীন হবিগঞ্জের একটি চা বাগানের সহকারী ব্যবস্থাপক আব্দুল জব্বার বলেন, প্রতিনিলামে আমাদের কম্পানির ৩৫-৪০ শতাংশ চা অবিক্রীত থাকছে। এতে একদিকে যেমন নগদ টাকা আসছে না, অন্যদিকে গুদাম ভাড়া বাবদ অতিরিক্ত টাকা গুনতে হচ্ছে। এ কারণে এ বছর চা বাগানের উন্নয়ন ও সম্প্রসারণকাজ আটকে আছে। এভাবে চলতে থাকলে ছোট বাগানগুলো বড় সমস্যায় পড়বে। যথাসময়ে শ্রমিকদের বেতন পরিশোধ নিয়েও সমস্যা দেখা দিতে পারে।

গোয়াইনঘাটের শ্রীপুর চা বাগানের ব্যবস্থাপক মনসুর আহমদ বলেন, কম দামে চা বিক্রি করায় অনেক ক্ষেত্রে উৎপাদন খরচ উঠছে না। বাগান চালানো কঠিন হয়ে পড়ছে। করোনা মহামারির জের ধরে এ বছরটা দেশের চাশিল্পের জন্য খুবই খারাপ যাচ্ছে।

আলাপকালে একই ধরনের কথা বলেন সিলেট অঞ্চলের অন্তত আটজন বাগান ব্যবস্থাপক। তাদের প্রত্যেকের ওয়্যারহাউজে চায়ের মজুদ বেড়েছে। নষ্ট হচ্ছে চায়ের মান। আগামী দিনগুলোতে মজুদ করা এসব চা ভালো দামে বিক্রি না হওয়ার সম্ভাবনার কথাও জানান তারা।

দৈনিক কালের খবর নিয়মিত পড়ুন এবং বিজ্ঞাপন দিন..

কালের খবর মিডিয়া গ্রুপ লিমিটেডের একটি প্রতিষ্ঠান
Desing & Developed BY ThemesBazar.Com