শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ১০:৪৫ পূর্বাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
যৌথ বাহিনীর অভিযান: থানচি-রুমা-রোয়াংছড়ি ভ্রমণে বারণ সাতক্ষীরার দেবহাটায় ইউপি চেয়ারম্যান ও আ’লীগ সভাপতি সহ আহত পাঁচ। কালের খবর সাপাহারে রাতের অন্ধকারে ফলন্ত আম গাছ কাটল দূর্বৃত্তরা। কালের খবর বাঘারপাড়ায় হাঙ্গার প্রজেক্টের সামাজিক সম্প্রীতি কমিটির সাথে উপজেলা নির্বাহী অফিসার’র মতবিনিময়। কালের খবর রায়পুরায় মরহুম ডাঃরোস্তাম আলীর ২৭ তম মৃত্যুবার্ষিকীতে ইফতার ও দোয়া মাহফিল। কালের খবর ভাতৃত্ববোধ সুদৃঢ় করতে রায়পুরাতে দোয়া ও ইফতার। কালের খবর রিয়াদে বাংলাদেশ প্রবাসী সাংবাদিক ফোরামের ইফতার মাহফিলে প্রবাসীদের মিলন মেলা। কালের খবর ঢাকা প্রেস ক্লাবের পক্ষ থেকে স্বাধীনতা দিবসে গুনীজনদের আলোচনা সভা সম্পন্ন। কালের খবর আরজেএফ’র উদ্যোগে স্বাধীনতা দিবসের আলোচনা সভা ও ইফতার মাহফিল সম্পন্ন। কালের খবর সাতক্ষীরার সুন্দরবন রেঞ্জে ২৪ জন হরিন শিকারীর আত্মসমর্পণ। কালের খবর
চন্দরপুর সুনামপুর রাস্তার বেহাল দশা। কালের খবর

চন্দরপুর সুনামপুর রাস্তার বেহাল দশা। কালের খবর

সিলেটের গোলাপগঞ্জের ঢাকা দক্ষিণ ভায়া চন্দরপুর-সুনামপুর বিয়ানীবাজার রাস্তার বেহাল দশা। প্রায় দুই দশক ধরে এ রাস্তাটি মেরামত থেকে বঞ্চিত। বর্তমান সরকার বিভিন্ন স্থানে উন্নয়নের কাজ করলেও এ জনবহুল রাস্তাটি যেন কারো নজর কাড়েনি। প্রতি বছর বর্ষা মওসুমে বৃষ্টির পানি জমে জমে খানাখন্দের সৃষ্টি হয়ে মাঝেমধ্যে স্থায়ী জলাবদ্ধতায় রূপ নিয়েছে।
প্রতিদিন এ রাস্তা দিয়ে মৌলভীবাজারের বড়লেখা থেকে শুরু করে প্রায় তিনটি উপজেলার মানুষ শত শত গাড়ি দিয়ে হাজার হাজার যাত্রী সাধারণ যাতায়াত করে থাকেন। বিয়ানীবাজার থেকে শেওলা সেতু হয়ে সিলেট শহরে যাতায়াত করতে হলে যে পথ অতিক্রম করতে হয়, সেই পথের বিকল্প হিসেবে এ পথ দিয়ে গেলে প্রায় ১৯ কিলোমিটার পথ কমে যায়। তাই প্রতিনিয়ত এ পথ ব্যবহার করেন বেশির ভাগ যাত্রী সাধারণ। যদিও সড়কটি এখনো আঞ্চলিক মহাসড়ক হিসেবে নামকরণ হয়নি তবুও আঞ্চলিক মহাসড়কের চেয়ে বেশি যাত্রী সাধারণ এ পথ ব্যবহার করে থাকেন।

 ১৯৯৯ সালে চন্দরপুর সুনামপুর কুশিয়ারা নদীতে ফেরী থাকাকালীন স্বল্প সময়ে শহরে পৌঁছা যায় বলে সকলেই এ রাস্তা ব্যবহারে মনোযোগ দেন। ২০০৫ সাল থেকে এ ফেরিঘাটে একটি ব্রিজ নির্মাণের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করে পুরো ৬ বছর এক টানা কাজ করে ২০১১ সালে তা সম্পন্ন হয়। ২০১২ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গোলাপগঞ্জে এসে টেলিকনফারেন্সের মাধ্যমে এ ব্রিজ উদ্বোধন করেন। তখন রাস্তাটি ছিল মোটামুটি চলার উপযোগী। উদ্বোধনের প্রায় ৩ বছর পর থেকে রাস্তাটি একটু একটু করে ভাঙতে শুরু করে, আজ অবধি তা ভেঙেই যাচ্ছে। ইতিমধ্যে গোলাপগঞ্জে অনেক কার্যক্রমের উন্নতি হলেও এ রাস্তার প্রতি কারো নজর পড়েনি।
বিশেষ করে চন্দরপুর সুনামপুর সেতুর উভয় পাশে যে খানাখন্দের সৃষ্টি হয়েছে। সুনামপুরের অংশ দেখে মনে হয় বর্ষার দিন কোন খাল পাড়ি দিয়ে গাড়ি চলছে। একটুখানি বৃষ্টি হলেই এ স্থানে পুকুরের মতো পানি জমে যায়। এলাকার লোকজন মাছ ধরার জাল নিয়ে এখানে উপস্থিত হয়ে মানুষকে বুঝাতে চান এটা রাস্তা নয়, মাছ ধরার বিল। এরপরও কারো নজরে আসেনি।

এ ব্যাপারে গোলাপগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মামুনুর রহমানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি উপজেলা প্রকৌশল বিভাগকে বিষয়টি জানিয়েছেন বলে জানান। উপজেলা সহকারী প্রকৌশলী মুজিবুর রহমান জানান, বিষয়টি তাদের নজরে রয়েছে। তারা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করেছেন। তবে কখন কীভাবে কাজ হবে এখনো বিষয়টি তাদের অজানা রয়ে গেছে।
স্থানীয় সিএনজি অটোরিকশা সমিতির সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন জিলু জানান, প্রতিদিন তাদের স্ট্যান্ড থেকে অতি কষ্টে চালকরা গাড়ি নিয়ে বের হন। ইদানীং ব্রিজ থাকাবস্থায় গাড়ির সংখ্যা কমে গেছে। চালকরা এ ভাঙা রাস্তা দিয়ে গাড়ি চালাতে অনীহা প্রকাশ করছে, যার জন্য দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে সাধারণ যাত্রীদের। তিনি আশা প্রকাশ করেন বিষয়টিতে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ একটু নজর দেবেন।

দৈনিক কালের খবর নিয়মিত পড়ুন এবং বিজ্ঞাপন দিন..

কালের খবর মিডিয়া গ্রুপ লিমিটেডের একটি প্রতিষ্ঠান
Desing & Developed BY ThemesBazar.Com