শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ০৪:০৭ পূর্বাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
সমাজে “শান্তি স্থাপন ও সহিংসতা নিরসনে — সাতক্ষীরায় তাপদাহে রিকশাচালকদের মাঝে পানি ও স্যালাইন বিতারণ। কালের খবর প্রচণ্ড তাপদাহে পুড়ছে বাগান, ঝরছে আম, শঙ্কায় চাষীরা। কালের খবর ট্রাফিক-ওয়ারী বিভাগ যানচলাচল স্বাভাবিক রাখতে কাজ করছে। কালের খবর মারামারি দিয়ে শুরু হলো ‘খলনায়ক’দের কমিটির যাত্রা। কালের খবর কুতুবদিয়ার সাবেক ফ্রীডম পার্টির নেতা আওরঙ্গজেবকে আওয়ামী লীগ থেকে বহিষ্কারের দাবিতে মানববন্ধন। কালের খবর সাতক্ষীরায় লোনা পানিতে ‘সোনা’ নষ্ট হচ্ছে মাটির ভৌত গঠন। কালের খবর সড়ক প্রশস্তকরণের কাজে অনিয়মের মহোৎসব। কালের খবর ইপিজেড থানা কমিউনিটি পুলিশিং এর উদ্যোগে আইন শৃঙ্খলা ও কিশোর গ্যাং প্রতিরোধ বিষয়ক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত। কালের খবর শাহজাদপুরে গাছের সঙ্গে ধাক্কা লেগে উড়ে গেল সি লাইন বাসের ছাদ, ১জন নিহত। কালের খবর
সড়ক যেন লালমাটির খাল। কালের খবর

সড়ক যেন লালমাটির খাল। কালের খবর

নারায়ণগঞ্জের শিল্পনগরী বিসিক এলাকায় ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ ও মুন্সিগঞ্জ সড়কে খনাখন্দে পানি জমে ভোগান্তির সৃষ্টি হয়েছে। এই সড়ক দিয়ে চলাচলরত যানবাহন গুলো অচল হয়ে পড়ছে। পথচারীসহ এলাকাবাসী কে প্রায়শ কাদামাটিতে পড়তে হচ্ছে। সড়কটি একাধিকবার সংস্কার করা হলেও স্থায়ী সমাধান আসছেনা। এলাকাবাসি বলছে বিসিক এলাকায় সড়কের অংশে খাল হয়ে মরণ ফাঁদের সড়ক হয়ে গেছে। এই ভাঙ্গা সড়ক দিয়ে বিসিকের গার্মেন্ট মালিকসহ কোটিপতি ব্যবসায়ী চলাচল করে।

জানা গেছে, ফতুল্লার পঞ্চবটি থেকে মোক্তারপুর সেতু পর্যন্ত সড়ক ও সেতু বিভাগের সড়ক। ভারী বর্ষণের কারণে রাস্তার পিচ, ইট, খোয়া উঠে গিয়ে খানাখন্দে  হয়ে যায়। সেতু বিভাগ সংস্কার সরূপ শুধু গর্ত গুলোতে ইট বিছিয়ে দেয় কয়েকবার। ঢাকা ও মুন্সীগঞ্জের এই সড়কে প্রতি মিনিটে ৩০ থেকে ৪০টি ভারী যানচলাচল করে। এ সড়কের দুই পাশে বিসিক শিল্পনগরী ও বেশ কয়েকটি সিমেন্ট কারখানাসহ ভারী শিল্পপ্রতিষ্ঠান রয়েছে। ফলে সড়কও দ্রুত সেই পুরনো চিত্রে ফিরে আসে। হয়ে যায়।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানা গেছে, বিসিকে ৭২৮টি প্লটের মধ্যে রফতানিমুখী শিল্পপ্রতিষ্ঠান ৬৫৭টি ছিলো এর মধ্যে কিছু বন্ধ হলেও বেশির ভাগ চলছে। এসব প্রতিষ্ঠানে শ্রমিক রয়েছেন ২ লাখ ২৫ হাজার। এর মধ্যে নারী শ্রমিক ১ লাখ ১৫ হাজার। এখান থেকে সরকার রাজস্ব পায় বছরে  হাজার কোটি টাকা অধিক। বিসিক এসব শিল্পপ্রতিষ্ঠান থেকে প্রতি বছর জমির কিস্তি, সার্ভিস চার্জ, ভূমি উন্নয়ন কর ও পানির বিল কোটি টাকা আদায় করা হয়। কিন্তু এরপরও বিসিকের প্রবেশ পথ দীর্ঘ সময় ধরে বেহাল দশা।

স্থানীয় বাসিন্দা ও শ্রমিকরা জানান, বছর হয়ে গেছে কোনো সংস্কার কাজই হয়নি। রাস্তা গুলোয় ছোট বড় গর্ত সৃষ্টি হয়েছে অনেক দিন ধরেই। এসব গর্তে প্রায়ই যানবাহন আটকে পড়তো। বিসিক এলাকায় সড়কের অংশে খাল হয়ে গেছে। এই ভাঙ্গা সড়ক দিয়ে বিসিকের গার্মেন্স মালিকসহ কোটিপতি ব্যবসায়ীরাও চলাচল করে। ছুটি বা দুপুরের বিরতির সময় একসঙ্গে সব শ্রমিক বের হলে চরম অসুবিধায় পড়তে হয় তাদের। স্বল্প গভীরতার নালা একটু বৃষ্টিতেই উপচে ওঠে। বৃষ্টি এলে শ্রমিকদের পানি ভেঙে কারখানায় আসতে হয়। আর টানা কয়েকদিন বর্ষণ হলে সঙ্গে অতিরিক্ত কাপড় আনতে হয় শ্রমিকদের।

এ প্রসঙ্গে, এনায়েত নগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান জানান, রাস্তাটি গত ১ বছর ধরে বেহাল দশা। কয়েকবার ইট দিয়ে মেরামত করা হলেও স্থায়ী ভাবে সমাধান হয়নি। কয়েকদিন পর পর পূর্ণরায় ভেঙ্গে গেছে। এই সড়কের মূল সমস্যা হলো ড্রেনেজ ব্যবস্থা নেই।  চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান আরও জানান, এই রাস্তাটি  সড়ক ও জনপদ বিভাগের। গত তিনদিন আগে ঢাকা থেকে একদল প্রকৌশলী এসেছিলেন। তারা সড়কের বিভিন্ন দিখেছেন। কয়েকদিনের মধ্যে আরও একটি টিম আসবে। সেই টিম সদর উপজেলার প্রকৌশলীদের সাথে আলোচনা করে দ্রুত মেরামত কাজ শুরু করবে। এছাড়া এই সড়কে ফ্লাইওভার হওয়ার কথা রয়েছে বলে জানান  ইউপি চেয়ারম্যান।

দৈনিক কালের খবর নিয়মিত পড়ুন এবং বিজ্ঞাপন দিন..

কালের খবর মিডিয়া গ্রুপ লিমিটেডের একটি প্রতিষ্ঠান
Desing & Developed BY ThemesBazar.Com